ছাগল বিলিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড।, বিক্ষোভ : ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশ

10th February 2021 8:47 pm বর্ধমান
ছাগল বিলিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড।, বিক্ষোভ : ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশ


অভিষেক চৌধুরী ( কালনা ) :  ছাগল নিয়ে ধুন্ধুমার! প্রাণীসম্পদ দপ্তর থেকে গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ছাগল বিতরণে গড়মিল ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলে মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামের এক কমিউনিটি হলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কয়েকশো মহিলা।বুধবার দুপুর থেকে কয়েক ঘন্টা ধরে এই বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মন্তেশ্বর থানার পুলিশও উপস্থিত হোন।
             স্থানীয়সূত্রে জানা যায় যে,কয়েকদিন আগে  কুসুমগ্রামের প্রাণীসম্পদ দপ্তর থেকে মন্তেশ্বরের বিভিন্ন অন্চলে একটি করে গোষ্ঠীকে ২১ টি করে ছাগল দেওয়া হয়।আর সেই ছাগল স্থানীয় পন্চায়েতের মাধ্যমে সেই গোষ্ঠীদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান প্রাণী ও মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মুখোপাধ্যায়।আর এই ছাগল বিতরণ নিয়েই গড়মিলের অভিযোগ তুললেন মাঝেরগ্রাম অন্চলের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।শুধু তাই নয় সংঘের সভানেত্রী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছাগল দিয়ে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন তারা।যদিও সেই অভিযোগ ঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন সংঘের সভানেত্রী বাণী দাস।এই বিষয়ে সীমা বাগ,সোনালী পাল নামের মহিলারা বলেন,‘যে ছাগলগুলি দেওয়া হয়েছিলো তার কোনো হদিশ মেলেনি।গোষ্ঠীরা সেই অভিযোগ তোলায় আমরা এখানে এসেছিলাম।অভিযুক্তরা ঘরে তালা দিয়ে বসে আছে।ছাগল যাদের নামে এসেছে তাদেরকেই দেওয়া হোক।শুধু তাই নয় আমরা বেশ কয়েক বছরের সমস্ত হিসাব চেয়েছি সংঘের সভানেত্রীকে।’এই বিষয়ে সংঘের সভানেত্রী বাণী দাসকে ছাগল দিয়ে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান,‘এই অভিযোগ ঠিক নয়।স্বাস্থ্যসাথী করার জন্য যাতায়াতের জন্য ত্রিশ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।’একুশটি ছাগলের হিসাবের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,‘একটি গোষ্ঠীর এগারোটি মেয়েকে ছাগল দিয়েছি।বাকি ছাগলগুলোকে দেওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।গোষ্ঠীর সাথে আলোচনা করে তা দেবো এইটাই ভেবেছিলাম।’ যদিও অন্যান্য গোষ্ঠীর মহিলাদের দাবি অনুযায়ী এইদিন বাণী দাস সহ তার সহকর্মীরা মুচলেকা দেন যে সাতদিনের মধ্যে তেরো বছরের সমস্ত হিসাব তারা বুঝিয়ে দেবে।এই বিষয়ে প্রধান বিপল রায় জানান,‘পন্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে ছাগল বিতরণ করা হয়েছিলো।পন্চায়েত এই বিষয়ে কিছু জানে না।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।